ঝালকাঠিতে গরু মোটাতাজাকরণে ষ্টেরয়েড ঔষধ ব্যবহার
প্রকাশিত : ২১:১৮, ৫ আগস্ট ২০১৯
কোরবানিকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে গরু মোটাতাজা করতে মানবদেহের ক্ষতিকারক ষ্টেরয়েড ঔষধ ব্যবহার করছে পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা। ফার্মেসিতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এসব ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও সিজনাল খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা এর তোয়াক্কা করছেন না।
অল্প সময়ে অধিক মুনাফার লোভে নানা ধরনের ষ্টেরয়েড ব্যবহার করে গবাদি পশুর পাশাপাশি নিজেদের পকেটভারী করার প্রতিযোগীতায় মেতেছেন তারা। এসব ষ্টেরয়েডের মধ্যে ডেক্সামেথাসন, বিটা মেথাসন, পেডনিসোলন, কর্টিসন, ইষ্ট্রাডায়ল, টেষ্টোষ্টেরন, প্রোজেষ্টরন, ইষ্ট্রোজেন মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা, লিভার ও কিডনি ধ্বংসসহ ক্যান্সার রোগের আশংকা সৃষ্টি করেছে।
ঝালকাঠির একাধিক গবাদি পশুর ঔষধ বিক্রয় কেন্দ্রে এসব ষ্টেরয়েড পাওয়া না গেলেও কিছু ঔষধ কোম্পানীর প্যাকেটের গায়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার্য্য লেখা ভিটামিন বিক্রি হচ্ছে। যেমন ভি গ্রো এড নামে এগ্রো ফার্মার ১ কেজির ওষুধের প্যাকেটের গায়ে এটি লেখা আছে। এসব ভিটামিন কতটা স্বাস্থ্য সম্মত তা দেখার প্রয়োজন হলেও এবিষয়ে উদাসীন পশু সম্পদ বিভাগ। আইন অনুযায়ী সব ধরনের ষ্টেরয়েড হরমন প্রেসক্রিপশন ছাড়া বেচাকেনা করা যাবে না ঘোষণা থাকলেও জেলায় প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তা হরহামেশা বেচাকেনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির গবাদি পশুর এক ঔষধ বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এসব ষ্টেরয়েড আমরা বিক্রি না করায় এখন ফার্মেসিতে সহজলভ্য। যা কিনে কোরবানির গরুকে মোটাতাজা করতে খাওয়ানো হচ্ছে। যদিও এসব ষ্টেরয়েড মানুষের ব্যবহারের জন্য বিক্রি করার কথা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে।
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মোহম্মদ ছাহেব আলী জানান, ঝালকাঠিতে চোরাই পথে এনে গোপনে এসব ষ্টেরয়েড বিক্রি হচ্ছে । কিন্তু ওপেনে বিক্রি হচ্ছেনা। আমি জেলা সমন্বয় সভায় বলেছি এ বিষয়ে কারো কাছে তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে। তবে এ বিষয়ে চিরুনী অভিযান চালানোর পরিকল্পনা আছে।
এনএম/কেআই
আরও পড়ুন